আজ তাই দাওয়ায় বসে বসে ভাবছে, পোড় খাওয়া বার্ধক্যের বয়স; অতীত পেড়িয়ে আসা ৮০টা বছর তার অনিবার্য উলঙ্গ যন্ত্রনা, তবু নিদারুন শীত কষ্টের কাছে সে হার মানতে চায় না।
এদিকে শীতে কাঁপছে পৃথিবীর বার্ধক্য, সেই সাথে কাঁপছে বুড়িটাও; অথচ হাড্ডি সার চামড়ার ভাঁজে অনিবার্য দুর্দশার স্বীকার আজ সে, তবু নিখাঁদ বাঁচতে চাওয়া যেন একখন্ড হৃদপিন্ডের বিশ্বাসে।
সমিচিন কারনে আবার বেঁচে যায় বার্ধক্য, এবং বেঁচে যায় বুড়িটাও; ওদিকে রন্ধে রন্ধে শীতের কামড়ে যদিও বেড়ে যায় অনত্দঃর্জ্বালা, তবুও কষ্টকে ধারন করেই চলে পার্বন চলে পৌষ মেলা।
কাঁপছে কাঁপুক শীতের কামড়ে, তবুও আশাহত হয় না বয়স্ক বিবেক; অথবা বেমালুম ভুলে যায় শীতের প্রকোপে হাইপোথার্মিয়ার কথা, তাইতো শীতে বসে খেঁজুর রসে মুড়ি চিবোয় করুন বাসত্দবতা।
পৌষের সীমানা জুড়ে নানান আয়োজনে, উন্মুখ হয় শীতল সুখের লালসা; সুনিপুন শিল্পকর্ম পিঠা পুলির অবয়বে সুগন্ধ ছড়ায় পুরানো ক্যানভাসে, আর সবাই বুড়িটার যাবত কালের জমানো কষ্ট খায় গো গ্রাসে।
দাওয়ায় বসে বসে ছানি পরা চোখে, কেবলই সব কষ্টের দৃশ্য দেখে বুড়িটা; শেষে অতীত জড়ানো শীতে পুঁটি মাছের ছালুন মাখায় কড়কড়া ভাতে, আর খেয়ালী মনের রসনা মিটিয়ে কেবলই কাঁপতে থাকে শীতে।
এভাবে কেঁপে কেঁপে সারা হয় একদিন পৃথিবীর বয়স, সেই সাথে বুড়িটাও; অতএব কেঁপে কেঁপে স্থির হয় ওর ছন্দময় গতি, এসে জীবন ছায়ান্যে, সেইসাথে কষ্টটাও বিলিন হয়ে যায় ওর হীমশীতল বার্ধক্যের গহীনে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
" হাড্ডি সার চামড়ার ভাঁজে অনিবার্য দুর্দশার স্বীকার আজ সে "---অসাধারণ । বয়স্ক মানুষদের নিয়ে আমাদের ভাবনা এখন বিলুপ্তির পথে। আমরা এখন বৃদ্ধ বাবা মাকে ফেলে আসি বৃদ্ধাশ্রমে। আপনার এ কবিতা আমাদের অনুভূতিতে দোলা জাগাক । আপনার জন্য শুভ কামণা ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।